প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯ বারের মতো ৫ উইকেট বা তার বেশি উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করলেন এই স্পিনার।
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একই খেলায় ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি চট্টগ্রামের তাসামুল হক। তিনি আরাফাত সানির শিকার হন।
রাজশাহী বনাম ঢাকা: খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা বিভাগ ৭৬.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে।
রনি তালুকদার ৬৩ এবং তাইবুর রহমান ৮৮* রান করেন। রাজশাহীর পক্ষে স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৪টি এবং শফিউল ইসলাম ও ফরহাদ রেজা ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে শুক্রবার রাজশাহী ৬৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করলে দিনের খেলা শেষ হয়। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৭৫ রান করেন। এছাড়া জহুরুল ইসলাম অমি ৫৭ এবং ফরহাদ রেজা ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা বিভাগের হয়ে সুমন খান ৪ উইকেট শিকার করেন।
রংপুর বনাম খুলনা: রংপুর ও খুলনার মধ্যকার ম্যাচটি শুক্রবার শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের খেলা হয়নি। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয় খুলনা। ব্যাট করতে নেমে দিনের খেলা শেষে ৭২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রংপুর। নাঈম ইসলাম ৪৮ এবং তানবির হায়াদার ও সোহরাওয়ার্দী শুভ যথাক্রমে ৪০ ও ৩১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
চট্টগ্রাম বনাম ঢাকা মেট্রো: টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তাসামুল হকের ব্যাটে ভর করে চট্টগ্রাম বিভাগ ২৯০ রানে অলআউট হয়। ৩ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম। তাসামুল ৯০ রান করেন।
ঢাকা মেট্রোর পক্ষে আরাফাত সানি ৩৯.৫ ওভারে ৮৭ রান খরচায় পান ৬ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ উইকেট লাভ করেন।
জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে ঢাকা মেট্রো। মার্শাল আইয়ুব এবং শামসুর রহমান যথাক্রমে ২৬ এবং ২১ রানে অপরাজিত আছেন।
সিলেট বনাম বরিশাল: রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামে সিলেট ও বরিশাল।
বরিশাল টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ৩ উইকেট শেষে ৬৮ রান করেছে সিলেট। জাকির হাসান এবং অলক কাপালি যথাক্রমে ৩২ এবং ৮ রানে অপরাজিত আছেন। বরিশালের পক্ষে কামরুল ইসলাম রাব্বী ২ উইকেট শিকার করেন।