বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হতে যাওয়া খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে মাছরাঙা, জিটিভি ও বিটিভি। সেই সাথে দর্শকরা অনলাইনে র্যাবিটহোলবিডিডটকম ও বায়োস্কোপলাইভডটকমে এ খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
টাইগাররা ২ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট ও বল উভয়েই জ্বলে উঠেছিল। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দুটি চমৎকার ইনিংসের কল্যাণে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করেছিল ৩৩০ রান। পরে তারা প্রোটিয়াদের ৩০৯ রানে বেঁধে ফেলে ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
টাইগাররা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একই নৈপুণ্য দেখানোর বিষয়ে আশাবাদী। বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপ কিউইরা তাদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ১০ উইকেটে।
প্রথম ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে অর্ধশতকের পর বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে এক উইকেট নিয়ে টাইগারদের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন। যার প্রতিদান হিসেবে তিনি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের দেখা পান। তার বিশ্বাস, কিউইদের বিপক্ষে জয়ের জন্যও তারা ভালোভাবেই প্রস্তুত আছেন।
সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভালো করার জন্য এ বিশ্বকাপে এসেছি। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোভাবে প্রস্তুত এবং যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু একই সাথে আমরা চিন্তামুক্ত। আমরা জানি বড় দলগুলোকে হারানোর মতো সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা আমাদের আছে।’
‘আমি মনে করি আমরা মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছি। যদি এ মনোভাব বজায় রাখতে পারি তাহলে আমরা টুর্নামেন্টে অনেক দূর যেতে পারব,’ যোগ করেন বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সাকিবের। তখন কিউইদের দেয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের পক্ষে শতক হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ম্যাচ জয়ের জন্য সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ যোগ করেছিলেন ২২৪ রান।
সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যথাক্রমে ৭৫ ও ৪৬ রান করে রয়েছেন ভালো ছন্দে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আসরগুলোতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চারবার মুখোমুখি হয়ে কখনো সফল হতে পারেনি। বিশ্বকাপের বাইরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সর্বশেষ সাক্ষাতে কিউইদের কাছে টানা তিন ম্যাচ হারতে হয়েছে টাইগারদের।