শুরু থেকে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকা ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপ শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথম ওয়ানডেতে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হোপ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ বলে ৩টি ছক্কা ও ১২টি চারের সাহায্যে ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ৩ রানে মিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন চন্দরপল হেমরাজ।
দলীয় ৭০ রানের মাথায় ড্যারেন ব্রাভোকে ফেরান রুবেল হোসেন। তবে মারলন স্যামুয়েলসের সাথে ৬২ রানের জুটি গড়েন হোপ।
এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর দ্রুতই হেটমেয়ারকে (১৪) রুবেল এবং রভমন পাওয়েলকে (১) ফেরান মাশরাফি। রোস্টন চেজকে (৯) ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ।
তবে কেমো পলকে সাথে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন হোপ।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় ওপেনার লিটন দাসকে। আর ক্রিজে নেমে শূন্য রানেই ওশান থমাসের শিকার হন ইমরুল কায়েস।
তবে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নেন দুই ব্যাটিং ভরসা- ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তাদের শতরানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে টাইগাররা।
পাঁচ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক করেন মুশফিক। অপরপ্রান্তে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশতক করেন সম্প্রতি চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা তামিম।
৫০ রানে তামিম ও ৬২ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা।
দলীয় ১৯৩ রানে মাহমুদউল্লাহ প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
দুর্দান্ত খেলে ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশতক করেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৬৫ রানে সাকিব আউট হন।
একসময়ে মনে হয়েছিল বাংলাদেশের রান ২৮০ বা তারও কাছে যাবে। কিন্তু ক্যারিবীয়দের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে বাংলাদেশ।
উইন্ডিস বোলারদের মধ্যে ৫৪ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ওশান থমাস।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ এ সমতা ফিরল।