টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান করে সফরকারীরা।
তবে ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১১০ বলে খেলা তার ইনিংসটি ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম ইকবাল। তবে তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেননি টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
৮৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল (১৯), সৌম্য সরকার (১১), মোহাম্মাদ মিঠুন (১২), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬) এবং সাব্বির রহমান (১১)। এদিনও ব্যর্থ মোসাদ্দেক (১৩)।
তবে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সঙ্গী ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের জুটিতে আসে ৮৪ রান। মিরাজ ৪৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করে ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির স্বপ্ন জাগান মুশফিক।
৪৮তম ওভারে ৮০ রান থেকে ৪৯তম ওভারে একই ১৫ রান নেন মুশফিক। তবে শেষ ওভারে নিজের ব্যক্তিগত ৫ রান নিতে পারেননি। ৩ রান করতে পারায় ২ রানের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন এ টাইগার ব্যাটসম্যান।
এদিকে তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছয় হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ৩২ বছর বয়সী মুশফিক।
এদিন ব্যাট হাতে নামার আগে ব্যক্তিগত অর্জন থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ছিলেন মি. ডিপেন্ডেবলের তকমা পাওয়া মুশি। ১৫তম ওভারে লঙ্কান স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়ার দ্বিতীয় বলটি স্কয়ার লেগে ঠেলে এক রান নিয়ে তামিম-সাকিবের সঙ্গী হন তিনি।
ক্যারিয়ারের ২১৫তম ম্যাচের ২০১তম ইনিংসে ছয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন এ তারকা ক্রিকেটার
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।