রেকর্ড ৩২১ রান তাড়া করতে নেমে টাইগাররা মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৪১ ওভার ৩ বলে ৩২২ রান তুলে নেয়।
এর আগে বিশ্বকাপে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। এ জয় টাইগারদের পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে নিয়ে এসেছে।
বিশ্বকাপে উড়তে থাকা সাকিব এ ম্যাচে ৮৩ বলে ১৩টি চারের সাহায্য টানা দ্বিতীয় শতকের দেখা পান। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ একাদশে সুযোগ পাওয়া লিটনকে সাথে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে তিনি গড়েন অপরাজিত ১৮৯ রানের জুটি।
বিশ্বকাপে এটি ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা জুটি। তাদের আগে ২০১১ সালে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকী মিলে ৯২ রানের এক জুটি দাঁড় করিয়েছিলেন।
সাকিব ৯৯ বলে ১৬টি চারের সাহায্যে ১২৪ এবং লিটন ৬৯ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের মার দিয়ে ৯৪ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ ৮ ওভার ২ বলে ৫২ রান সংগ্রহ করে। যা টাইগারদের বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার ভালো ভিত্তি গড়ে দেয়।
সৌম্য আন্দ্রে রাসেলের বলে ক্রিস গেইলের হাতে ধরা পড়ে ২৯ রানে ফিরে যান। কিন্তু রানের চাকার গতি বজায় রেখে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-সাকিব যোগ করেন আরও ৬৯ রান।
বোলার শেল্ডন কটরেলের বল ঠেকিয়ে নিজের জায়গায় ফেরার আগেই বিদ্যুৎ গতির এক থ্রুতে স্টাম্প ভেঙে যায় তামিমের। তিনি ৫৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৪৮ রান। তারপর মাত্র এক রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। লেগ সাইডে যাওয়া ওশানে থমাসের বলটি মুশফিককে আলতো করে ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক শাই হোপের কাছে আশ্রয় নেয়।
তবে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করেন সাকিব আর লিটন। বল হাতে দুই উইকেট আর ব্যাট হাতে ১২৪ করা সাকিব হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
টনটনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবিয়রা। দলের পক্ষে শাই হোপ সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন। এছাড়া এভিন লুইস ৭০, শিমরন হেটমেয়ার ৫০ এবং জেসন হোল্ডার ৩৩ রান করেন।
বাংলাদেশ ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২ জুন নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।