টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে সফরকারীরা।
ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ক্যারিবীয়রা। তবে টাইগারদের গলার কাঁটা হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার শাই হোপ। হোপ ১৩১ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৯টি চার ও ১টি ছয়ে সাজান তার ইনিংস।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মিরাজ তুলে নেন চন্দরপল হেমরাজ (৯), ড্যারেন ব্রাভো (১০), শিমরন হেটমায়ার (০) এবং রোভম্যান পাওয়েলের (১) উইকেট।
১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। সাকিব ৯ ওভারে ৪০ রানে এবং মাশরাফি সমান ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন। বাকি ১টি উইকেট পান সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া সাইফুদ্দিন। স্যামুয়েলসকে (১৯) বোল্ড করেন তিনি।
একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং রুবেল হোসেনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন।
মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ একাই লড়াই করে ক্যারিবীয়দের জয় উপহার দেন।
ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি পরিণত হয়েছে ফাইনালে।
এদিকে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলেই টানা তিনটি সিরিজ জয়ের গৌরব অর্জন করবে টাইগাররা।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে এবং নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ওয়ানডে সিরিজে জয়লাভ করে টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দিন।
উইন্ডিজ একাদশ: চন্দরপল হেমরাজ, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, মার্লোন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল, রোস্টন চেজ, ফ্যাবিয়ান এলেন, কিমো পল, দেবেন্দ্র বিশু ও কেমার রোচ।