শনিবার সকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে এ উচ্ছেদ অভিযান।
অভিযানের শুরুতেই শহরের থানাপাড়া জিকে ঘাটে শেখ রাসেল সেতুর পশ্চিম পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন গড়াই নদীর জায়গা দখল করে মার্কেটসহ দোকানপাট গড়ে তোলে। এসব দোকানপাট ভাড়া দিয়ে তারা অর্থ আয় করে আসছিল। গড়াই নদীকে দখলমুক্ত করতে দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতুর পাশে অবৈধভাবে জমি দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০টি পাকা ও আধা পাকা ভবন ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে সকল দখলদারদের হটিয়ে নদীর জায়গা রক্ষা করা হবে। ১০দিন আগে নোটিশ করা হয় দখলদারদের। এছাড়া শুক্রবার মাইকিং করা হয়। নোটিশ পাওয়ার পর দখলদাররা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়।
কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, নদী রক্ষায় বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক গড়াই নদী রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সব দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। প্রাথমিকভাবে শহরের জিকে ঘাটে অবৈধ দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া হলো। এরপর নোটিশ করে সব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে। নদী তার স্বাভাবিক প্রবাহ যাতে ধরে রাখতে পারে সে জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।