‘দেশি পাখি মারবো না-প্রকৃতি ধ্বংস করবো না’, ‘বনের পাখি বনে থাক-প্রকৃতির সৌন্দর্য শোভা পাক’ প্রভৃতি স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় দুই দিনব্যাপী এই পাখি প্রদর্শনী শুরু হয়।
খুলনা অ্যাভিকালচার বার্ড ব্রিডার্স সোসাইটির আয়োজনে ‘খাঁচায় পালিত বিদেশি পাখি’ ও অ্যাডেনিয়াম (ডেজার্ট রোজ) প্রদর্শনী খুলনাবাসীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে অর্ধশত জাতের বিদেশি পাখি দেখা গেছে। তবে ম্যাকাওয়ের খাঁচার সামনে শিশু-কিশোর আর তরুণ-তরুণীদের ভিড় লেগেই আছে। এই পাখি দুটি বয়স্কদেরও আকর্ষণ করছে। এছাড়া মেলায় ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। মেলায় অনেকেই আবার এসেছেন পাখিপালন সম্পর্কে ধারণা নিতে।
মেলায় ম্যাকাও ছাড়াও বিদেশি সালফার ক্রেস্টেড কাকাতুয়া, গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ, বাংলা ফিঞ্চ, বাজেরিগার, রিং নেক প্যারোট, জাভা, ফিঞ্চ, সিনামন পার্ল ককাটেল, গ্রে প্যারোট, সান কনুর, লরিকেট, গোল্ডেন ম্যানটেইল রোজিলা, জেন্ড এ কনুর, পাইনঅ্যাপেল কনুর, গ্রে গ্রিন টার্কোজিয়ান, সাদা টিয়া পাখি, হলুদ টিয়া পাখি, বদরিকা, লুটিনো, লাভ বার্ড, ক্রেসটেড ডাভ, সিল্কি হেনসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির পাখি স্থান পেয়েছে।
খাঁচায় পোষা এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ডানা ঝাপটানো ও শান্ত চুপচাপ বসে থাকা সবই মুগ্ধ করছে আগতদের। নতুন নতুন পাখির সঙ্গে পরিচিতও হচ্ছেন তারা।
সোসাইটির সভাপতি সাব্বির আহমেদ মুন্না বলেন, ‘প্রদর্শনীতে অংশ নিতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখি প্রেমীরা এসেছেন প্রায় অর্ধশত জাতের তাদের সখের পাখি নিয়ে। এ প্রদর্শনীতে কোনো পাখি বিক্রি করা হচ্ছে না।’
মুন্না বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সব বয়সী মানুষের অবসর বিনোদন এবং খাঁচার পাখি বংশবিস্তারের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার মতো আরও অনেক বিষয় মানুষকে অনুপ্রানিত ও উৎসাহিত করার জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।’