তিনি বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর । ২০২০-৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে মানসম্মত বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ মেলা-২০১৯ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ ভাগের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, সাধারণত আমাদের দেশের চাষিরা নিজ নিজ ফসলের অপেক্ষাকৃত ভালো অংশ পরবর্তী ফসলের বীজ হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু একই বীজ থেকে বার বার চাষ করলে ফসলের ফলন অনেক হ্রাস পায়। তাই ২-৩ বছর পর পর বীজ পরিবর্তন খুবই জরুরি।
‘কৃষির মূল উপকরণ হচ্ছে বীজ । বীজ উদ্ভিদ জগতের ধারক ও বাহক । বীজই ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এসডিজি - ২ অর্জনের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্মত বীজের সরবরাহ ২০২০-২১ সালে ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ২০২৪-২৫ সালে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন এবং ২০২৯-৩০ সালে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন-এ উন্নীত করা প্রয়োজন, যোগ করেন তিনি।’
আশরাফ উদ্দীন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি ও নীতি বাস্তবায়নের ফলে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে । ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। যার ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ।
‘ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি । খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো মানসম্মত বীজ, যোগ করেন তিনি।’
তিনি বলেন,আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো মানসম্মত বীজ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চাহিদামাফিক মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। একই ব্যবস্থাপনায় শুধু মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫-২০ ভাগের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব ।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, বর্তমান দেশে ফরম্যাল সেক্টরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ মানসম্মত বীজ চাষি পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। বাকিটা কৃষকরা নিজেদের বীজ ব্যবহার করে থকে। প্রধান দানাশস্য ফসল ধান ও গমের ক্ষেত্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহ যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ধান বীজের ক্ষেত্রে মৌসুম অনুযায়ী বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে মানসম্মত বীজ সরবরাহের শতকরা হার যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ , ৫৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও ২৯ দশমকি ৭২ শতাংশ।