সোমবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতভুক্ত প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটবাউর গ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কৃষকদের এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, ধানের নতুন কোনো জাত কৃষকদের কাছে পুরোপুরি পৌঁছাতে প্রায় ১৫ বছর লেগে যায়। কিন্তু এবারের নতুন জাত ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ কৃষকদের মাঝে তিন বছরের মধ্যেই পৌঁছানো সম্ভব হবে। তার জন্য প্রতিটি জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কৃষি বীজ কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। সেই টাকা দিয়ে নতুন ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ জাতের ধান বীজ কিনে উপজেলায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরের বছর বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে ওই বীজ বিতরণ করা হবে। এবার নতুন জাতের ব্রি৮১ এবং ব্রি৮৯ জাতের প্রদর্শনী দেখেছি। যাতে বিঘা প্রতি ৪০ মন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হবে। তাতে বীজের ঘাটতি হবে না। আগামীতে সব কৃষককে এই বীজ সরবরাহ করা হবে।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির বলেন, সরকার কৃষকদের নিয়মিতভাবে কৃষি ভর্তুকি দিচ্ছে। বীজ, সার, ফসল কর্তনে মেশিন কেনাসহ দুর্যোগকালীন সময়ে কৃষকদের ভতুর্কি দিয়ে সহায়তা করছে। কারণ কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে না পারলে সব ধরনের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়বে। সকল অর্জনই সাময়িক হবে। তাই কৃষকদের নতুন জাত দেয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যবস্থাপনা দিতে পারলে কৃষকরা বেশি করে এই জাত চাষাবাদ করবে। ফলনও বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা এখন সাধারণত ব্রি২৮ ও ব্রি২৯ চাষাবাদ করছে। এতে বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ মণ। কিন্তু ব্রি ৮১ এবং ব্রি ৮৯ চাষাবাদের বিঘা প্রতি ফলন হবে প্রায় ৪০ মণ। এই নতুন জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই মাঠ দিবস পালিত হয়।
এর আগে ভাটবাউর গ্রামে কৃষি সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নতুন জাতের ব্রি৮১ ও ব্রি৮৯ ধানের প্রদশর্নী পরিদর্শন করেন। এসময় ফলন ভালো হওয়ায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেন।