স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী এ ফসল নিজ মাদরাসার মাঠেই আবাদ শুরু করেন ফারুক। অল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আয় করেছেন দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি অর্থ।
গত শনিবার (১১ মে) ক্ষেত থেকে বাদাম তুললে ফলন হয় ৭ মণ। এতে ২ হাজার টাকা খরচে বাদামের ফলন হয়েছে ২০/২৫ হাজার টাকার। যা খরচের দ্বিগুণের চাইতে অনেক বেশি লাভ।
সরেজমিনে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ আমতৈল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদরাসার মাঠে দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করেছেন মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা ফারুক আহমদ। মাঠ ছেয়ে গেছে সবুজ বাদামের গাছে। পাশেই রয়েছে তার নতুন জাতের সাগর কলার প্রদর্শনী প্লট।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় খামার বাড়ি ঢাকা’র উদ্যোগে চাষ করেছেন এ সাগর কলা।
মাওলানা ফারুক আহমদ জানান, কিছুদিন আগে মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট করাই। নদী থেকে আনা হয় মাটি। নতুন মাটিতে কিছু চাষ করার ইচ্ছে জাগে। তখন অনেকে বলেন, বালু মাটিতে ভালো বাদাম চাষ হয়। তখন থেকেই বাদামের বীজ খুঁজতে থাকি। আমাদের এলাকায় বাদামের চাষ না হওয়ায় বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। পরে মাদ্রাসায় কিশোরগঞ্জ থেকে কিছু শিক্ষক এলে তারা আমার আগ্রহ দেখে নিজ এলাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে দেন।
পরে ১৫ শতক জায়গায় গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ৭ কেজি বীজ বপণ করি। তিন মাসেই ফলন আসে বাদামের। প্রতিটি গাছের গোড়ায় ফলেছে ২৫/৩০টি করে বাদাম।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, বাজারে চাহিদা ভালো এবং কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি। বাদাম চাষ করলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। মাওলানা ফারুক আহমদ দেখিয়েছেন, সাহস করে সামনে অগ্রসর হলে সাফল্য নিশ্চিত।