পার্কের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুমসহ বছরের ৮ মাস বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয় এই পার্কটি। এবছরও মৌসুমের শুরুতেই (অক্টোবরের প্রথম থেকে) অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গ্রামটি।
পাখি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার আগেই পাখি গ্রাম নামে পরিচিত এ এলাকায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কয়েক হাজার বাসস্থান বলেও জানান তিনি।
খবির উদ্দিন জানান, এখানে বক, হাঁসপাখি, পানকৌড়ী, শালিখ, টিয়া, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙা, ঘুঁঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি, চড়ঁইসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রাজত্ব।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার পাখির প্রজনন ঘটছে এ পার্কসহ আশপাশের এলাকায়। ডিম থেকে ফুটছে বাচ্চা। বর্তমানে দেশের একমাত্র এই কৃষি পর্যটন কেন্দ্রটি পরিনত হয়েছে পাখির অভয়ারণ্যে।
কিন্তু সারাদেশের ন্যায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টির সাথে শিলা বৃষ্টি। এতে পার্কে অবস্থানরত পাখিরা মারা পরেছে বলে জানান পার্কের স্বত্ত্বাধিকারী ইরফান আহম্মেদ।
গত দু’দিনের বৃষ্টিতে হাজার হাজার পাখি মারা পরেছে দাবি করে ইরফান বলেন, পার্কে কর্মরত শ্রমিক দিয়ে মারা যাওয়া পাখিগুলো একত্রিত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই পাখি মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা হবে।
স্বত্ত্বাধিকারী ইরফান বৈরি আবহাওয়া থেকে পাখিদের রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।