ভাটার মালিকরা দায় স্বীকার করলেও কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আর কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্তীর্ণ জমির ধান নষ্ট হওয়ায় এবার ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, সদর উপজেলার বেতিলা-মিতোরা ইউনিয়নের গোকুলনগর, সুলন্ডি গ্রামের প্রায় দুইশ কৃষক এবার ৫০০ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছেন। আর মাত্র ১৫/২০ দিনের মধ্যেই পাকা ধান ঘরে তোলার আশা করছিল কৃষকরা। কিন্তু এরই মধ্যে বিস্তীর্ণ ধান ক্ষেতের পাশে অবস্থিত ডায়ানা কোম্পানির তিনটি ইটভাটা, গ্রামীণ কোম্পানির একটি ইটভাটাসহ ১০/১২টি ইটভাটার আগুনের তাপে পুড়ে গেছে পুরো ৫০০ বিঘা জমির ধান। এতে চরম ক্ষতিতে পড়েছেন তারা।
কৃষকরা বলেন, ইটভাটার নিচের অংশে আগুনের তাপ বাতাসে ছড়িয়ে ধান ক্ষেত পুড়ে গেছে। ধান চিটা হয়ে গেছে। ইরি ধান বিক্রি করেই তারা সংসার চালান। এখন ধান নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষতি পোষাতে ভাটার মালিকদের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন কৃষকরা।
কৃষকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা ফসলি জমি থেকে ইটভাটা অপসারণের কথা বলে আসছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
তারা অবিলম্বে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ এবং আবাদী জমি থেকে ইটভাটা অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র সরকার বলেন, ইটভাটার মালিকদের একাধিকবার সর্তক করেও কোনো লাভ হয়নি। প্রতি বছরই ইটভাটার আগুনের তাপে ধানের ক্ষতি হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আলম বলেন, ইট খোলার আগুনের তাপে প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ইটখোলা মালিকদের ইতিপূর্বে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু খোলা মালিকরা কোনো ধরনের কর্ণপাত করেনি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া ছাড়া এখন আর কোনো কিছুই করার নেই বলে জানান তিনি।
ইটভাটার আগুনের তাপে ধান নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ভাটার মালিকরা। ডায়ানা ইটভাটার ম্যানেজার শাহাব উদ্দিন বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।