এ বছর সুন্দরবন সংলগ্ন নয়টি বিদ্যালয়ের মোট ৩৭ জন টাইগারস্কাউট এবং শিক্ষক প্রতিনিধিগণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করছেন।
খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, সুন্দরবন ও তার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যেসব প্রশংসনীয় ও মহৎ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়াইল্ড টিমের এ টাইগারস্কাউট কার্যক্রম।
‘সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়গুলোর বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা এ কার্যক্রমের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসছে, স্বপ্ন দেখাচ্ছে এক সুন্দর ভবিষ্যতের,’ যোগ করেন তিনি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন প্রতিশ্রুতি দেন যে সুন্দরবন ও বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক যেসব কর্মকাণ্ড বন বিভাগ পরিচালনা করে থাকে, সেগুলোতে টাইগারস্কাউটদেরকে সম্পৃক্ত করতে আশু পদক্ষেপ নেবেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট) মো. মাহমুদুল হাসান বন সংরক্ষণে টাইগারস্কাউটদের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, টাইগারস্কাউট ইতোমধ্যে দেশের সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় সুন্দরবন সংরক্ষণেও অবদান রাখতে চলেছে। বাংলাদেশে টাইগারস্কাউটদের প্রশংসনীয় কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্প্রতি ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া সেখানকার সুন্দরবন রক্ষায় নিজস্ব টাইগারস্কাউট কার্যক্রম চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে।
অপরদিকে ওয়াইল্ড টিম দেশের বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০০৩ সাল থেকে কাজ করে চলেছে, বিশেষ করে সুন্দরবন সংরক্ষণে। বনের সীমান্তে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহী করা, প্রশিক্ষণ দেয়া, মানুষ ও বন্য প্রাণীর সংঘাত কমানো, বন ও পরিবেশ সম্পর্কে সাধারণকে সচেতন করে তোলা ইত্যাদি ওয়াইল্ড টিমের কার্যক্রমের অংশ।