কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, সরিষা খেতে মৌ চাষ করলে পরাগায়ন ভালো হয়। এজন্য ২০ শতাংশ ফলন বাড়ে। একই সাথে মধুর চাহিদাও পূরণ হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সরিষা খেতে মৌ চাষ বাড়ছে। সে জন্য মৌ বক্সসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে মৌ চাষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার আট উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে ৯ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। যার মধ্যে এবার এক হাজার ২৬৮ হেক্টর জমিতে বাক্স বসিয়ে মৌ চাষ করা হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৯৭৯টি বক্সে সরিষার ফুল থেকে অন্তত ৪ হাজার কেজি মধুর যোগান মিলবে। গত বছর মধু উৎপাদন হয়েছিল তিন হাজার ৬১২ কেজি।
হামিদপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব জানান, সরিষা চাষের সাথে সাথে মাঠে মধু সংগ্রহের ধুম পড়েছে। অধিকাংশ সরিষা খেতের মাঠের পাশে মৌ চাষে এখন বক্স স্থাপন করা হয়েছে। বক্সে থাকা লাখ লাখ মৌমাছি সরিষা ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করছে। এতে সরিষা ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। আর সরিষার উৎপাদন বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, জেলায় গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই জমিতে সরিষা ও মধু চাষ করলে সরিষার ফলন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ে। তাই সরিষার পাশাপাশি মধু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।