বুধবার সকালে বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের ১০ দফা: আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; শনাক্তকৃত খুনীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার; মামলার সব খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করা; দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তিতে বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া এবং অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিস দেয়া।
এছাড়া, বুয়েটে ‘সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি’ নিষিদ্ধ করা; বুয়েট ভিসি ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টাকে (ডিএসডব্লিউ) জবাবদিহি করা; আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলে পদক্ষেপ নেয়া; নির্যাতন বিরোধী রিপোর্টের জন্য অফিসিয়াল সাইটে পোর্টাল খুলে ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার করা এবং শেরে বাংলা হলের প্রভাস্টকে প্রত্যাহার করা।
এর আগে চিহ্নিত খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী রবিবার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে শিবির সন্দেহে তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।