মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রপ পিটারসেন এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে তার সরকার দেশে আরও শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ‘আমরা আমাদের বিনিয়োগও সম্প্রসারিত করতে চাই।’
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যয়ে পরিবর্তন আনতে সরকার গ্রামীণভিত্তিক উন্নয়ন করছে। ‘দেশের উন্নয়ন তৃণমূল থেকে হওয়া উচিত।’
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে তিনি জানান, দেশের নারীরা এখন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, শিক্ষা ও খেলাধুলার পাশাপাশি সশস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে খুব উচুঁ অবস্থানে আছেন।
বৈঠককালে ডেনিশ ও নরওয়েজিয়ান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জ্বালানি ও আইসিটি খাতে তাদের দেশের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
তারা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমৎকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বৈঠকের শুরুতে দুই রাষ্ট্রদূত চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ডেনমার্ক ও নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীদের পাঠানো দুটি অভিনন্দনপত্র তার কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।