বুয়েনস আয়ার্স মহানগরীর ক্যাস্টেলার হোটেলে ‘আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’ আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় শনিবার তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে, বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জিডিপি’র অব্যাহত প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, সবধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা সম্বলিত একশটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল গঠন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পর্যাপ্ততা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে টাক্স ফোর্স গঠন, প্রবাসী দিবস পালনসহ প্রবাসীদের কল্যাণে গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সাশ্রয়ী শ্রম বাজার, দ্রুত সময়ে দক্ষতা অর্জনে সক্ষম জনশক্তি, সাশ্রয়ী জ্বালানি খরচ, বিনিয়োগকৃত মূলধন প্রত্যাবাসনের সুযোগ এবং বিনিয়োগের উচ্চ লাভের কথাও তুলে ধরে বাংলাদেশে এসে এ সকল উন্নয়ন বাস্তবতা নিজ চোখে দেখার জন্যও তিনি উপস্থিত আর্জেন্টিনার নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিদেশের দূতাবাসমূহে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে হটলাইন খোলা এবং বাংলাদেশে আগমন ও অবস্থানকালে প্রয়োজনীয় ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি।
অর্জিত অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও জ্ঞান ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আর্জেন্টিনার নাগরিকদের বাংলাদেশের বন্ধু উল্লেখ করে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আর্জেন্টিনার লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা স্মরণ করেন।
এ সময় বাংলা, স্প্যানিস ও ইংরেজি ভাষার মেলবন্ধনে বহুজাতিক ও বহুভাষিক সংস্কৃতির আবহে এবিসিসিআই আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বুয়েনস আয়ার্সে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি ও আর্জেন্টিনাবাসীর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন- সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গারেট পিকোরা।