এ বছর ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারণ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শুরুতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানায়, দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। পরে দ্বিতীয় বৈঠক শেষে কমিটি তাদের তথ্য সংশোধন করে এবং বুধবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ঈদের নামাজ আদায় ও উৎসবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
ঈদের দিন সাধারণত মানুষ ফুরফুরে মেজাজে বাইরে ঘুরতে বের হলেও এবার বৃষ্টির কারণে ঘরে বসে থাকতে হয়। রাজধানীর অনেক এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
রাজধানী ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এতে সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই সাথে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাতের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজে অংশ নেয়ার ব্যবস্থা ছিল।
দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে দেশের দুই বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ৬ লাখ এবং শোলাকিয়ায় ৫ লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবি। সেই সাথে দেশব্যাপী বিভিন্ন ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গবভনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পাশাপাশি শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা পতাকায় সাজানো হয়।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।
ঈদ উপলক্ষে কারাগার, হাসপাতাল, সরকারি শিশু কেন্দ্র, ছোটমনি নিবাস ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল।