মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনটা অসৎ উদ্দেশ্য থেকে করা হয়েছে। এটা কোর্টের সঙ্গে প্রতারণা। ঋণ রিসিডিউল হয়ে গেলে ঋণ খেলাপির তালিকায় কেউ থাকবে না। তাই প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আবেদন জানাই। তখন আদালত শুনানি নিয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেন।’
আদালতে বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে সন্ধ্যায় ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করছেন না, তাদের জন্য বড় সুবিধা চালু করা হয়। বকেয়া ঋণের ২ শতাংশ টাকা জমা দিয়েই তারা ঋণ নিয়মিত করতে পারবেন। এতে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। আর এক বছরের ঋণ পরিশোধে বিরতিসহ ১০ বছরের মধ্যে বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন।
আবার ব্যাংক থেকে নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন। আর যারা এক বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিতে চান, তাদের জন্য বড় ছাড় রয়েছে। তারা চাইলে তহবিল খরচের সমান সুদ দিয়েই বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর তহবিল খরচের হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ।
এর আগে গত ১৬ মে হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চ গত ২০ বছরে কোটি টাকার উপরে ঋণ খেলাপিদের তালিকা, কী পরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়েছে, ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে যে অনিয়ম চলছে, তা বন্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার তথ্য আগামী ২৪ জুনের মধ্যে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দেয়।
এই প্রতিবেদন দাখিলে আরও সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন করার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।