রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া অভিযোগ গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম খান গত ১৪ মার্চ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে ফারুক হাওলাদার এবং শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক আসামি ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। আগামী ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২১ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবিসহ নয় ধরনের আলামত আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মো. জাকির হোসেন ও আয়নাল হক ওরফে এনামুল হক ওরফে মিন্টু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আর কামাল নামে আরেক আসামির পুরো নাম ঠিকানা না পাওয়ার কারণে তাকেও অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
আসামি শাহ আলম ওরফে বুড্ডা বর্তমানে কারাগারে আছেন। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।