মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগরীতে অবস্থিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় ২০টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি ছাত্র হল, ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি ছাত্রী হল, গ্র্যাজুয়েট ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ তলা বিশিষ্ট ১টি হোস্টেল নির্মাণ, সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ১১ তলা বিশিষ্ট ২টি ভবন নির্মাণ, জুনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ২টি আবাসিক ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ।
এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে আর্কিটেকচার, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওশেনোগ্রাফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবন-১ নির্মাণ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবন-২ নির্মাণ, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের জন্য অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন, বাংলা ও ইংরেজি ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবন-৪ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কশপ নির্মাণ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, ১০ তলা বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব নির্মাণ, ছাত্রদের আবাসিক এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ। কেন্দ্রীয় বর্ধিতকরণে নির্মাণ কাজ, প্রধান সড়কের উভয়পাশে ১৫ মিটার স্পানের ২টি ব্রিজ নির্মাণ ও ৩৩/১১ এমভিএ সাব স্টেশন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
পিডব্লিউডি-২০১৮ রেইট শিডিউলে সরকারি উৎস থেকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে। যা ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হবে বলে জানা গেছে।