বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বচিতদের শপথ গ্রহণ ও এমপি পদে দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জানুয়ারি রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনটির ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি শুনানিতে বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৮ জানুয়ারি। অথচ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীরা ৩ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ায় সংবিধান লংঘন হয়েছে।’
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রিট আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন, ‘শপথ আগে নিলেও সংসদ সদস্যরা গত ৩০ জানুয়ারি থেকে তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বেঞ্চ শুনানি নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন।
আদালত বলেছিলেন, ‘রিটকারী যেহেতু কোনো এমপি ছিলেন না বা কোনোভাবেই তিনি সংক্ষুব্ধ নন, তিনি এ ধরনের রিট করতে পারেন না।’
পরে একই আইনজীবী অন্য ফর্মে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তখন জানান, এখন রিট অব কো-ওয়ারেন্টো দায়ের করা হয়েছে। নতুন এই রিটে কোন কর্তৃত্ববলে এমপিরা তাদের পদে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৩, ৭২ এবং ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদের লংঘন করে একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিরা শপথ নিয়েছেন। একারণে তারা পদে থাকতে পারেন না।