জনগণের সুরক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী ফ্রন্টলাইনের সহযোদ্ধা নিরোদ চন্দর মন্ডল (৫২) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।
নিরোদ চন্দর মন্ডলের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৬ জন বীর সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় নিরোদ চন্দর মন্ডল সিপিএইচে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার বিকালে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ফরিদপুর জেলা বাসিন্দা নিরোদ চন্দর মন্ডল মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, একটি কন্যা এবং এক পুত্র এবং অনেক আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
পুলিশের তত্ত্বাবধানে ফ্রন্টলাইন-সহ-যোদ্ধার লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার সৎকার করা হয়।
জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৫৩৩৩ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২০৫৯ জন পুলিশ সদস্য করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র।
এ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৭০৬ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। সেই সাথে নতুন করে পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন রেকর্ড ২ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) (বর্তমানে মহাপরিচালকের দায়িত্বে) ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭০৯ জনে দাঁড়াল। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে।