শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৫ জনে। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জন। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনা। নতুন পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ১৮ হাজার ২৭২টি। এ ক্ষেত্রে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৬২ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে দেশে মোট সুস্থ হলেন ৮৬ হাজার ৪০৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
নতুন যে ৩৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ এবং নারী ৮ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩০৪ জনে। এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৭৪৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩১ লাখেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪১ জনের। তাদের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ হাজার ১৮৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।