এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৫৬ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৬ হাজার ১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব করোনা আক্রান্ত
নতুন যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৮২ জন বা ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৫০৫ জন বা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩০২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমকি ২৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ২০২ জনে।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহার করুন: টিকা এখনই করোনা সমস্যার সমাধান দেবে না
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪ লাখ ৭ হাজার ৫৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৫১০ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।