বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ট্যুরিস্ট হ্যাভেন বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে তারা এ আহ্বান জানান।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বরকে পর্যটন দিবস হিসেবে পালন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বদরুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই ইকো-ট্যুরিজমের গুরুত্ব বাড়ছে। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯০০ মিলিয়ন পর্যটক ঘুরে বেড়ায়। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১.৬ বিলিয়ন।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটনের স্থানগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে।’
এ বিষয়ে সরকারকে নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন খাতের জন্য বাস্তবসম্মত বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। যা বেকারত্ব দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য পর্যটন-বান্ধব নীতি প্রয়োজন।
‘ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য আমাদের (দেশের) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগাতে হবে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অংশীজনদের এগিয়ে আসা উচিত,’ বলে মনে করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তুষ্ট কুমার দেব প্রমুখ।
বাংলাদেশে সুন্দরবন, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা, চট্টোগ্রামের পাহাড়ি এলাকা, হাওর, জলপ্রপাত ও ঐতিহাসিক স্থানসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।