উত্তরপত্রে (ওএমআর) বৃত্ত ভরাটের সময় এক পরীক্ষার্থী অন্য এক পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর পূরণ করায় এবং কেন্দ্রের পরিদর্শকের সেটি নজরে না আসায় এমনটি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ‘বি’ ইউনিটের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটি জানায়, গত ৮ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ২০৬১৫০ রোল নম্বরধারী মো. আলী মোস্তাকিন নামের এক শিক্ষার্থী নিজের উত্তরপত্রের (ওএমআর) রোল নম্বরের ঘর পূরণের সময় ‘১’ এর স্থলে ‘০’ ভরাট করেন। ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শকের অসতর্কতায় বিষয়টি ধরা না পড়ায় উত্তরপত্রটি ভুলভাবেই মূল্যায়িত হয়। এতে ২০৬১৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু মো. আলী মোস্তাকিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও তার বদলে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থী সাজ্জাতুল ইসলামের রোল ২০৬০৫০ স্থান পায় মেধাতালিকায়। এছাড়াও তদন্তের স্বার্থে স্থগিত থাকা ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি প্রক্রিয়া বুধবার পুনরায় পূর্বের মতো শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীকে উপস্থিতির তালিকায় অনুপস্থিত দেখানো হয়। তবে ১২ নভেম্বর প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে দেখা যায়, ২০৬০৫০ রোল নম্বরধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন।
এ ঘটনায় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি স্থগিত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।