একই সঙ্গে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া ও রাজশাহীর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শাহিনুর ও সুমাইয়া আক্তারের ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে চিলড্রেনস চ্যারিটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র পক্ষে গত ২৬ মে ওই রিটটি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল হালিম।
গত ৬ মে ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স হিসেবে কর্মরত শাহিনুর আক্তার তানিয়া বাসে করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে আসছিলেন। পথে বাজিতপুরের জামতলি গজারিয়া এলাকায় শাহিনুরকে চলতি পথেই স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, চালকের সহকারী লালন মিয়াসহ কয়েকজন জোরপূর্বক গণধর্ষণ শেষে মাথার পেছনে আঘাতে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় চালক, চালকের সহকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তি দেন।
এছাড়া রাজশাহীর মোহনপুরে গত ২৩ এপ্রিল বিকালে বান্ধবী সোনিয়ার সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।
পরিবারের অভিযোগ, সহপাঠী সোনিয়ার সহযোগিতায় অপহরণের পর বর্ষার ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন মুকুল নামের এক ব্যক্তি। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় গ্রেপ্তারকৃত দুজনের নাম উল্লেখসহ দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে বখাটের পরিবারের অকথ্য ভাষা সহ্য করতে না পেরে গত ১৬ মে আত্মহত্যা করে সুমাইয়া।