বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকায় আবদুল হক মোল্লার ভাড়া বাসায় গায়ে আগুন দেন হিমু। তিনি বরিশালের উজিরপুর থানার বাবর গ্রামের সরদার আবুল হোসেনের ছেলে। তিন বছর ধরে তিনি এখানেই বসবাস করছিলেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফ এম সাঈদ বলেন, রাতে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হিমু আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বলেন, হিমুর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হিমু মানসিক ভারসাম্যহীন ও কুকুর নিয়ে দিন রাত কাটাত।
এদিকে হিমুর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ‘হিমালয় হিমু’তে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার রাতে আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট দেন। এর মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দেয়া একটি পোস্ট ছিল, ‘ছোটকাল থেকেই আগুন আমার অনেক পছন্দ’। রাত ৯টা ২২ মিনিটে লেখা হয় ‘কোনো মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। রাত ৯টা ২৬ মিনিটে হিমুর আইডি থেকে ‘জয় বাংলা প্যারা নাই’ পোস্ট করা হয়। আর ওটাই ছিল সর্বশেষ পোস্ট।