শুক্রবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক সুধী সামাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার দেশকে উন্নত করতে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। উন্নয়নের অংশ হিসেবে হাওর এলাকা রক্ষায় অনেক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মানুষ দ্রুতই উপকার পাবে। কিন্তু খুব দুঃখের সাথে বলছি, কিছু মানুষ জেলার তিন উপজেলাকে সংযুক্ত করা নির্মাণাধীন মহাসড়কের পাশে বাড়ি বানানো শুরু করেছে।’
হাওর এলাকায় অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘উন্নয়ন কাজগুলোকে রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব। এগুলো এখন সম্পদ এবং তা থেকে আপনারা উপকার পাবেন। পাশাপাশি, হাওর এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের আগে আপনাদের স্থানীয় প্রশাসন থেকে যথাযথ অনুমোদন নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
মানুষকে বিদ্যমান পরিবেশ আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সতর্ক করেন যে কেউ আইন লঙ্ঘন করলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
হাওর অঞ্চলকে অন্যতম লাভজনক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করে তিনি উল্লেখ করেন যে প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। ‘যদি আমরা পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি তাহলে এটি আমাদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে।’
‘উন্নয়ন সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। যদি উন্নয়ন টেকসই না হয় তাহলে আমরা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারব না,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা বৃদ্ধির সাথে দুর্নীতিও বাড়ছে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ চলমান উন্নয়নকে টেকসই করার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। ‘মানুষকে ফাঁকি দেবেন না এবং সৎ জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। তাহলে আমাদের দেশ বৃহৎ পরিসরে উন্নত হবে, এমনকি হাওরের চিত্রও বদলে যাবে।’
এর আগে নিজের জন্মস্থল মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি হামিদ পৈতৃক বাড়ির পাশে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় এবং বাবা মো. তায়েব উদ্দিন ও মা তমিজা খাতুনসহ স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন।
তিনি সাত দিনের সফরে ৯ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ পৌঁছেন।