রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘শুধু চাকরির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না...তোমাদের বরং ভাবতে হবে যে আমরা চাকরি করব না, অন্যদের চাকরি দেব।’
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নিজেদের এবং অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানে অবদান রাখা ২২ আত্মকর্মী এবং পাঁচ যুব সংগঠনের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
শেখ হাসিনা কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনী ধারণাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে বরং নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা, মনন, দক্ষতা ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি মাথায় রাখার তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকজনের মাঝে মানসিকতা রয়েছে যে কেউ চাকরি না করলেই সে বেকার। কিছু উদাহরণ টেনে তিনি বলেন ফ্রিল্যান্সাররা অনেক অর্থ উপার্জন করলেও দেশের মানুষ এখনও ফ্রিল্যান্সিংকে চাকরি হিসেবে দেখে না। ‘এ মানসিকতা বদলাতে হবে।’
যুবদের যদি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে দেশে কেউ বেকার থাকবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, সরকার চায় যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষে’ কেউ বেকার থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী তরুণদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকারও আহ্বান জানান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন। সেই সাথে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষ থেকে দেশ সেরা সফল আত্মকর্মীর পুরস্কার পাওয়া ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান এবং নারী ক্যাটাগরিতে দেশ সেরা যুব সংগঠক হিসেবে পুরস্কারজয়ী পারভীন আক্তার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আতিকুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ ও গবাদী পশুর খামার গড়ে তুলেন। বর্তমানে তার খামারের মূলধন ৫ কোটি টাকা এবং সেখানে ১১৫ জন কর্মী রয়েছেন।
জাতীয় যুব পুরস্কার ১৯৮৬ সাল থেকে দেয়া শুরু হয় এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৪৫ আত্মকর্মী যুব এবং পাঁচ যুব সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।