গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে রবিবার এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
পাত্র আবু ব্ক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার বারবলদিয়া গ্রামের বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ও রংপুরে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বিয়েতে পাত্র পক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকলেও পাত্রী পক্ষের লোকজন রেজিস্ট্রির সময় উপস্থিত ছিলেন।
পাত্রীর মা ও ধর্ষণ মামলার বাদী জানান, তার মেয়েকে গত ১৩ আগস্ট রাতে পুলিশ সদস্য আবু ব্ক্কর সিদ্দিক ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট মেয়ের মা বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় আবু বক্করের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার ভয়ে আর চাকরি বাঁচাতে ধর্ষক নিজেই উদ্যোগী হয়ে ওই কলেজছাত্রীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিয়ে শেষ হওয়ার পর পরবর্তীতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য ধর্ষণের আলামতের সার্টিফিকেট নিয়ে পাত্রী হাসপাতাল ছাড়েন।