বৃহস্পতিবার রেলভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু সাক্ষাৎ করতে গেলে রেলপথ মন্ত্রী এ অনুরোধ জানান।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পসহ অনেক বড় প্রকল্পে কাজ করছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। কাজেই কাজের গুণাগুণ ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে ঠিকাদারকে চাপে রাখার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, সারাদেশকে পর্যায়ক্রমে ডুয়েলগেজে রুপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য চীন সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানান।
এসময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন, যাতে তারা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে। বিশেষ করে রেলওয়েতে যন্ত্র কৌশল ও পুরকৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের উপর অগ্রাধিকার দেন। রেলপথ মন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে সহায়তার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
বর্তমানে চীনের অর্থায়নে জি টু জি ভিত্তিতে ৪টি প্রকল্প চলছে। প্রকল্পগুলো হলো- পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনকে ডুয়েলগেজে রুপান্তর প্রকল্প এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ-জামালপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প।
চীনের রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশে হাইস্পীড ট্রেন নির্মাণে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, চীন এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চগতির ট্রেন চালাচ্ছে। এ দেশে আমরা দ্রুতগতির ট্রেন নির্মাণে আগ্রহী। এছাড়া চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর বিষয়ে ঠিকাদারদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত আছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম, এবং প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট রেলওয়েরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।