এসময় ডাকাতরা র্যাব পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুটে নেয় বলে জানা যায়।
ডাকাতির কবলে পড়া আনছার আলী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম পীরপুরে যাচ্ছিলাম। পৌনে ৭টার দিকে টেইপুর-ঝোড়াঘাটা সড়কের টেইপুর মাঠে পৌঁছালে ৭-৮ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়। এরপর আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২২ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, ডাকাতির সময় ওই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালক, বাইসাইকেল চালকসহ এ রকম ২৫ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে ডাকাত সদস্যরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে।
ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জানান, সন্ধ্যায় ওই সড়কে আমি ও আমার এক বন্ধু ডাকাতির কবলে পড়ি। ডাকাতরা প্রথমে আমাকে র্যাবের পরিচয় দিয়ে ফেনসিডিলের একটি চালান আটকের জন্য অবস্থান করছেন বলে জানান। কথা বলার একপর্যায়ে পাশের জঙ্গল থেকে হ্যাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরিহিত ৪-৫ জন আমাদের দুজনকে জিম্মি করে আমার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও বন্ধুর কাছে থাকা ৪৮ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
প্রায় এক ঘণ্টা পর ডাকাতির জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ততক্ষণে ডাকাতরা নিরাপদে চলে যান।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিনই টেইপুর-ঝোড়াঘাটা সড়কে টহল পুলিশ ডিউটি করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই সড়কে কোন পুলিশের টহল দেখা যায়নি। পরে রাতভর ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালালেও ডাকাতির সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, এটি গণডাকতি বলা ঠিক হবে না। রাস্তায় গাছ ফেলে কয়েকজন ছিনতাইকারী গতিরোধ করে ফেনসিডিল উদ্ধারের নামে কয়েকজনের কাছ থেকে কিছু টাকা-পয়সা লুট করেছে। আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। খুব শিগগিরই ওই ছিনতাইকারীরা আইনের আওতায় আসবে।