সোমবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আল-রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মুশতাক সৈকত।
এদের মধ্যে গত শনিবার ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর আত্মীয়র কাছ থেকে ছিনতাই ও তাকে মারধর করার সময় তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এছাড়াও ঘটনার তদন্তে অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদেরকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরে প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বহিষ্কৃত ছাত্ররীগ কর্মীদের মধ্যে রাজি, সঞ্জয় ও রায়হান ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী এবং শিবলু ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানের আত্মীয়।
যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল বলেন, ‘তাদের (অভিযুক্তরা) অসামাজিক কার্যকলাপের দায়িত্ব আমরা নেবো না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
প্রক্টর ফিরোজ জানান, ‘বহিষ্কৃত ওই পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে না। এমনকি তাদের হলেও থাকতে দেয়া হবে না।’