রবিবার র্যাব-১০ এর একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এবিষয়ে কথা বলেন।
প্রতিনিধি দল জানান, র্যাবের মহাপরিচালকের নির্দেশে র্যাব-১০ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং এতে র্যাবের কোনো সদস্যের বাড়াবাড়ি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামন, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান, ডিএমপি লালবাগ জোনের ডিসি মো. মুনতাসিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাব-১০ এর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদ ও র্যাব সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে করে ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-সদরঘাট রুটের যানবাহন চলাচল ৪ ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাবের হামলার দ্রুত বিচার দাবি করেন। পরে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণ-২ বাসটি সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র্যাব-১০ এর গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩২২৩৭) রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বাসে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এসময় উত্তরণ-২ এর শিক্ষার্থীরা গাড়ি সরাতে বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে র্যাব-১০ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে এবং মারধর করে। এতে ৫ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।