বুধবার মামলা করার বিষয়ে দুদক আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ বিষয়ে আগামী ২৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু সংস্থাটির ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। এ নিয়ে ৩০ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশ হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।
৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই দিনই মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি মুক্তি পান।
জাহালমের বিনাদোষে তিন বছর কারাভোগের ক্ষেত্রে কারা দায়ী সে ব্যাপারে ১৭ এপ্রিল দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন তলব করে হাইকোর্ট। ১১ জুলাই দুদক হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করার ভুলটি হয়েছে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণে।
১৬ জুলাই হাইকোর্ট তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ২১ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বুধবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানান। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট।
আদেশের পরে খুরশীদ আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। আদালতকে দেখিয়েছি যে ১১ জন তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তারা জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুদক জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে। আর ঋণ জালিয়াতির ৩৩টি মামলার পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আদালত এ প্রতিবেদন নথিভুক্ত করে রেখেছে। পাশাপাশি ১১ কর্মকর্তা কারা, তাদের বিরুদ্ধে কী কারণে মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে ২৮ আগস্টের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে।’