রবিবার খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নয়ন বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গৃহবধূকে আইনি সহায়তা দেয়া বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনা আসার পর রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।
৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী জানান, জিআরপি থানায় নির্যাতন ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। থানা হাজতে ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটি ৬ আগস্ট তদন্ত শুরু করে। ৭ আগস্ট ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে প্রত্যাহার করে পাকশী নেয়া হয়।
৮ আগস্ট পাকশী ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত দলের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলগেটে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নেয়। এরপর আদালতের নির্দেশে ৯ আগস্ট পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪ আগস্ট আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি ১৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।