এদিকে ভূয়া প্রবেশপত্রে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ওই সাত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ফিসকারঘাট রেসিডেনসিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সাত শিক্ষার্থীকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক একই উপজেলার শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ধরঞ্জি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান। প্রথম পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে এসে শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানতে পারেন তার বিদ্যালয়ের নামে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে।
শ্রীমন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর দাবি, বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে অবগত করলে তিনি (উপজেলা শিক্ষা অফিসার) তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি চাপিয়ে রাখেন। তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি তিনি জানেনই না বলে দাবি করেন।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টির সত্যতা খুঁজে পেলে তিনি জানান, এ অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যে শিক্ষকরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওই সাত শিক্ষার্থী যথারীতি পরবর্তী সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। সব বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।