সকালে অসুস্থ হয়ে পড়া শ্রমিকদের বেশিরভাগকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাটকল সিবিএ এবং নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান জানান, শীত ও ক্ষুধার কারণে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসুস্থদের মধ্যে ২৫-২৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যদের অনশনস্থলে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
রহমান জানান, বুধবার রাতে আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
‘কিন্তু শ্রমিক নেতারা মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক।
আন্দোলনে থাকা পাটকলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল, কার্পেটিং জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।
শ্রমিকরা বলেছেন যে, তাদের নিয়মিত বেতন দেয়া হয়নি এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে অনশন কর্মসূচির কারণে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় খুলনার শিল্পাঞ্চল উত্তাল হয়ে পড়েছে। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গোটা শিল্পাঞ্চলে।