অপি রানী রায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা গ্রামের অনুকুল চন্দ্র্র রায়ের একমাত্র মেয়ে। তিনি এবার রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হওয়ার জন্য ঢাকা ফার্মগেটে উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএইচ আনোয়ারুল ইসলাম অপি রাণীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপি রাণীর অবস্থা খারাপ হলে শুক্রবার বিকালে তাকে দিনাজপুরে রেফার্ড করা হয়। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপি রানী রায়ের পরিবার জানায়, অপি রানী গত ৪ আগস্ট ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আসে। ৫ আগস্ট পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ওই দিনই তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ০৯ আগস্ট শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে সে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট একই উপজেলার নেকমরদ এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মাদরাসা ছাত্র রবিউল ইসলাম (১৭) দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের দুজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল।
উল্লেখ্য, এ বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, আগস্ট মাসের প্রথম নয় দিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ২০৭ জন। অন্যদিকে জুলাই মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২৫৩ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। ঈদের সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।