নিহতরা হলেন- হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাবাব (৩০) ও একই গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে সাদেক (৪০), বহরমপুর গ্রামের নূরল ইসলামের কিশোর ছেলে জয়নুল (১২) ও শিংহারি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাদেকুল (৩৫)।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির সাথে গ্রামবাসীর এই সংঘর্ষে আরও কমপক্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তারা হলেন- বাবু ও মিঠুন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে জানান, পার্শ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার যাদুরানীহাটে ভারতীয় গরু তল্লাশি করে বিজিবি। আজ ছিল হাটের দিন। হাটে বিক্রির উদ্দেশে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঠাকুরগাঁও-৫০ বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যগণ কয়েকটি গরু আটক করে।
‘এনিয়ে বিজিবি সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বিজিবি-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজিবি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা যাবত বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় নবাব ও সাদেক। হাসপাতালের নেয়ার পথে মারা যায় জয়নুল ও সাদেকুল। গুলিবিদ্ধ হয় কমপক্ষে আরও ১৩ জন’, বলেন স্থানীয়রা।
পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিজিবি’র গুলিতে অসংখ্য লোক আহত হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। দু’জন মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।
বিজিবি’র ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, বিজিবি সদস্যগণ কয়েকটি অবৈধ গরু আটক করে নিয়ে আসার সময় বহরমপুর এলাকায় চোরাকারবারীরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে বিজিবি’র উপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনা্স্থলে দুজন নিহত হন।
চোরাকারবারীদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজিবি’র ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, গুলির হিসাব এখনো শেষ হয়নি।