বিভিন্ন হল ও বিভাগের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়।
ভিসি চত্বর, কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিলটি স্মৃতি চিরন্তনের কাছে পৌঁছলে অনশনে অংশ নেয়া শোয়েব মাহমুদ অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং মিছিলটি শেষ হলে মীম আরাফাত মানব নামে আরেক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অনশনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান এবং প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ডাকসু নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার পদত্যাগ ও ৩১ মার্চের মধ্যে নতুন কমিটির অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কয়েকজন নেতা শুক্রবার দুপুরে অনশনকারীদের দেখতে যান।
মিছিলে বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুমকি দেন। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
‘সোমবারের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো,’ বলেন লিটন নন্দী।
অনশনে অংশ নেয়া সাত শিক্ষার্থী হলেন- কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই শিক্ষার্থী মীম আরাফাত ও তাওহীদ তানজিম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব মাহমুদ, পপুলেশন সাইন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মঈনুদ্দীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া তামান্না, প্রাণিবিদ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ তাহা এবং দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য মণ্ডল।
এদিকে টানা চতুর্থ দিন অনশনের কারণে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে দেখা করেননি বলে জানা গেছে।