সোমবার তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
চার আসামি হলেন-লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তফিউজ্জামান জুয়েল, মো. ওমর ফারুক ওরফে মানিক, মো. রানা ও মো. ফেরদৌস।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হাসানুজ্জামান উজ্জ্বল ও শামীমা নাসরিন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের ওই ছাত্রীকে গত ২ জানুয়ারি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার দোয়ানী তিস্তা ব্যারেজ এলাকা থেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় হাতিবান্ধা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তফিউজ্জামান জুয়েলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ৪
জানুয়ারি হাতিবান্ধা থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর মা মাসুদা আখতার।
মামলার অপর আসামি করা হয়-জুয়েলের সহযোগী ওমর ফারুক মানিক, মো. রানা, মো. ফেরদৌস এবং মাইক্রোবাস চালক মো. জহুরুলকে।
এদের মধ্যে জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা সোমবার হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চান। কিন্তু হাইকোর্ট তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে।
ঘটনার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর দাবি অনুযায়ী, ‘আমরাই পারি’ নামে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজের অংশ হিসেবে দুটি মাইক্রোবাসে করে তারা ১৭ জন বন্ধু বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে দোয়ানী তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় হেলিপ্যাডে যান। ফেরার পথে জুয়েলসহ সাত-আটজন মাইক্রোবাসের পথরোধ করে অস্ত্র বের করে অন্যদের নামিয়ে দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলেন। এ সময় বন্ধু-বান্ধবীরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন জুয়েল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীও লাথি, কিল-ঘুষি মারা হয়। চিৎকার চেঁচামেচির ফলে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় দৌড়ে পালিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে করে বাড়ি চলে আসেন তিনি।
ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমাকে অনেক দিন আগে থেকেই উনি বিরক্ত করতেন। এক বছর আগে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব দেন, আমরা সেটা রিফিউজ করি। তারপর থেকে মেসেঞ্জারে নানাভাবে মেসেজ দিতেন, আমি দেখতামও না, পরে ব্লকড করে দিয়েছি। এরপরই উনি এই কাজটা করেছেন। এলাকায় হেন কোনো খারাপ কাজ নেই যা উনি করেন না। উনি একটা দুশ্চরিত্র লোক। এলাকার অনেক মেয়েকেই উনি বিরক্ত করেন।‘