অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, ‘তরুণদের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে অবশ্যই সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যে কারণে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছি না।’
মঙ্গলবার একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে রাজধানীর কার্যালয়ে ‘যুব জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ: বাজেটে প্রতিফলন কী?' শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরি, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক, একশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।
নাহিম রাজ্জাক বলেন, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাবে আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে বাংলাদেশের কর্মী বাহিনী পিছিয়ে আছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, বিশ্বকাপ ফুটবল সামনে রেখে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য শ্রমিক সরবরাহে কাতারের তালিকায় নেপাল ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমিকদের ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকায় তারা সে তালিকায় ছিল না।
কাতারের পর পরবর্তী বিশ্বকাপ হবে জাপানে, যাদের উন্নয়ন কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ বিদেশি শ্রমিক দরকার। কিন্তু জাপানের আউটসোর্সিং তালিকাতেও বাংলাদেশের নাম নেই। ‘তাই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের আরও কাজ করতে হবে,’ বলেন নাহিম রাজ্জাক।
রুবানা হক জানান, বিজিএমইএ একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে, যেখানে যেসব কারখানা মালিক দুই কোটি মার্কিন ডলারের বেশি রপ্তানি করেন তাদের কারখানা এলাকায় শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
এ ধরনের উদ্যোগ প্রসারে সরকারকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।