এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন।
শনিবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি দেশের ৭১টি ল্যাবের মধ্যে ৬৪টি ল্যাবের যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৭১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৪ হাজার ৭২৭টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি।
পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.৩৩ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.১৯ শতাংশ।
নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২১ এবং নারী আটজন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ শতাংশ। আর মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৯.৪৭ শতাংশ এবং নারী ২০.৫৩ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৭৩ জন। যার ফলে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৭২১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার মোট হার ৪৪. ২৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার সকাল পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২১৭ জনে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৬১৪ জন এবং প্রাণঘাতী এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৩২ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬১ হাজার ৮৮৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জনে। এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৪।