প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী নয়াদিল্লির বিমান বাহিনী স্টেশন পালামে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী ৩-৪ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দেন।
ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন এবং তাদের উপস্থিতিতে ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী রবিবার নয়াদিল্লিতে তাজমহল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাতের সময় সোনিয়া গান্ধীর সাথে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও তার মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এবং সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সোয়ি কিট প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮’ গ্রহণ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতার পক্ষ থেকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।