ঢাকার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, বেইজিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১-৫ জুলাই সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উভয় পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের জন্য বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করছে।
সেই সাথে চীন সরকার ১-৩ জুলাই দালিয়ানে আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলন ‘নিউ চ্যাম্পিয়ন্স’-এ প্রধানমন্ত্রীকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ সম্মেলন ‘সামার দাভোস’ হিসেবে পরিচিত।
গত সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের বিপুল বিজয়ের পর এই প্রথমবারের মতো চীনে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সাথে বৈঠক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। সফরে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হতে পারে।
২ জুন দালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বৈঠক হবে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সেই সাথে তিনি ডব্লিউইএফ দালিয়ানে ‘কোঅপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক অধিবেশনে প্যানেল সদস্য হিসেবে থাকবেন।
বাংলাদেশ-চীনের সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে গভীর করার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট পরামর্শ উপস্থাপন করেছে বেইজিং।
সম্প্রতি কসমস সংলাপে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু বলেন, ‘প্রথমত আমাদের কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস এবং পরে অর্থনৈতিক ঐক্যবদ্ধতা গভীর করা দরকার।’
তিনি বাকি যে পরামর্শগুলো দিয়েছিলেন সেগুলো হলো- উদ্ভাবন ও মিথস্ক্রিয়া গভীর করা, নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে শক্তিশালী সহযোগিতা রাখা এবং সাংস্কৃতিক ও মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ গভীরে নেয়া।