নির্যাতিত ছাত্রীকে রবিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনে বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর ও বেঁধে রেখে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), মৃত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজুকে (৩০) আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে এক মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেন।
তিনি জানান, মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রায়ই হুমকি দিতেন আসামিরা। তিন দিন আগেও মামলা তুলে না নিলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
ছাত্রীর বাবা জানান, রবিবার ছিল ধর্ষণচেষ্টার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন। ‘এর ঠিক আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরিফুল লাঠি-সোটা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনকে হাত-পা বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে বাঁশ বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠাই। একই সাথে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেপ্তার করি। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’